আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
সওয়াল ও জওয়াব :
প্রশ্ন : ক. জানাযার পরে লাশ সামনে রেখে প্রচলিত মিলাদ পড়া কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
খ. মেহরাব অর্থ কি? বর্তমানে মসজিদ নির্মিত মেহরাবের ভিতরে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেব নামায পড়ালে নামায হবে কি?
গ. জুতা-সেন্ডেল পরে জানাযার নামায পড়া যাবে কি?
উত্তর ঃ ক. জানাযার পরে দ্রুত মায়্যিতকে দাফন করে দেয়া সুন্নাত। সুতরাং জানাযার পরে লাশকে সামনে নিয়ে মিলাদ পড়া শরীয়ত গর্হিত কাজ। রাসূলুল্লাহ সাঃ বা কোনো সাহাবী থেকে এমন আমল প্রমাণিত নেই। অতএব উক্ত কাজ নিকৃষ্টতম বিদআত।
খ. মেহরাবের এর শাব্দিক অর্থ যুদ্ধাস্ত্র। পূর্বেকার যুগে জিহাদের ঢাল তলোয়ার ও অন্যান্য অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য মসজিদ সংলগ্ন ছোট কুঠরী তৈরি করা হতো। কালক্রমে উক্ত ঘরকেই মেহরাব বলা হয়। বর্তমান মসজিদের কাতারে মাঝ বরাবর সম্মুখে নির্মিত মেহরাবে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেব নামায পড়ালে নামায হয়ে যাবে। তবে মেহরাবের ভিতরে দাঁড়ানো সুন্নাত মনে করা ভুল।
গ. যদি জুতা সেন্ডেলে নাপাকি না থাকে তাহলে জুতা সেন্ডেল পড়েও জানাযা পড়া যাবে। (ইমদাদুল মুফতীন ১/৩৪০, ফাতাওয়ায়ে রশীদিয়া ৪৩৩)
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment