Featured Post

আল্লাহর গুণ বাচক নামের ফযীলত ( Eman Dipto Dastan)

আল্লাহর গুণ বাচক নামের ফযীলত  রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, আল্লাহর আসমায়ে হুসনা (গুণ বাচক নাম) নিরানব্বইটি। আল্লাহ এ সকল নাম দ্বারা দোয়া চা...

amazon

Saturday, June 11, 2016

ওযু ব্যতীত কুরআন পাঠও স্পর্শ থেকে বিরত থাকা মানে কুরআন থেকে দূরে থাকা। বিষয়টি কতটুকু সহীহ?


প্রশ্ন : ক. জনৈক ইমাম সাহেব বলেলেন, শরীর ও পোশাক উভয়টি নাপাক থাকলে পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা যাবে না, পড়াও যাবে না। তবে শরীর ও পোশাক উভয়টি পাক থাকলে পবিত্র কুরআন ওযু ছাড়া পড়াও যাবে স্পর্শও করা যাবে । কারণ শরীরও পোশাক পাক থাকা অবস্থায় ওযু ব্যতীত কুরআন পাঠও স্পর্শ থেকে বিরত থাকা মানে কুরআন থেকে দূরে থাকা। বিষয়টি কতটুকু সহীহ? 
 উত্তর : ক. উক্ত ইমাম সাহেবরে কথা সহীহ নয়। উনি নাপাক বলতে শুধু বড় নাপাকীই ( অর্থাৎ যাতে গোসল ফরয হয়) বুঝেছেন। এজন্য বড় নাপাকী থেকে পবিত্র হলে ওযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা জায়েয মনে করেছেন। অথচ নাপাকী দুই প্রকার বড় নাপাকী যে নাপাকীর কারণে গোসল ফরয হয়। ছোট নাপাকী যে নাপাকীর কারনে গোসল ফরয হয়। ছোট নাপাকী যে নাপাকীর কারণে গোসল ফরয হয় না তবে ওযু ফরয হয় যেমন পেশাব-পায়খানা। বলাবাহুল্য উভয় নাপাকীর বিধান ভিন্ন। বড় নাপাকী হলে কুরআন পাঠ ও স্পর্শ কোনোটাই জায়েয নয়। আর ছোট নাপাকী হলে কুরআন পাঠ সিদ্ধ হলেও কুরআন স্পর্শ জায়েয নয়। মোট কথা কুরআন স্পর্শ করার জন্য উভয় প্রকারের নাপাাকী থেকে পবিত্র হতে হবে। দ্বিতীয়ত ইমাম সাহেব কুরআন পাঠের জন্য শরীর ও কাপড় উভয়টি পবিত্র থাকার কথা বলেছেন তাও সঠিক নয়। বরং শুধু শরীর যদি পাক-পবিত্র থাকে তাহলেই কুরআন পাঠ করতে পারবে।

No comments:

Post a Comment