আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পবিত্র কারুআনে তেলাওয়তের ফজীলত সম্পর্কে প্রিয়নবী সাঃ এর বাণী
হয়রত আবু আইউব আনসারী রাঃ বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসী’ শাহিদাল্লাহ (সূরা আলে-ইমরানের ১৮ আয়াত) এবং কুলিল্লøাহুম্মা গাইরি হিসাব পর্যন্ত পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার গোনাহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন। এছাড়া তার সত্তরটি প্রয়োজন মিটাবেন, এর সর্বনি¤œ প্রয়োজন হবে ‘মাগফিরাত’ (তাফসীরে রুহুল মা’আনী)
হযরত আবু উমামা রাঃ-এর বর্ণনায় হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি ফরজ নামযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে, সে পাঠকারী মু’মিন মৃত্যুর সাথে সাথেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে নাসায়ী ও তাবরানী)
জামে সহীহ বোখারী এর এক হাদীসে হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা রাতে নিদ্রার জন্য বিছানায় যাও, তখন আয়াতুল কুরসী পড়ে নাও। এরুপ করলে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য একজন রক্ষী নিযুক্ত হয়ে যাবে এবং শয়তান তোমাদে কাছে আসতে পারবে না।
হযরত ইমাম বগভীর রহঃ নিজেস্ব সনদে বর্ণিত এক হাদীসে হযরত রাসূলুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা আলে-ইমরানের শাহিদাল্লাহু আয়াত শেষ পর্যন্ত এবং কুলিল্লাহুম্মা আয়াত বিগাইরি হিসাব পর্যন্ত পাঠ করে আমি তার ঠিকানা জান্নাতে দিবো, তাকে আমার নিকট স্থান দিবো, দৈনিক সত্তর বার তার দিকে রহমতের দৃষ্টি দিবো, তার সত্তরটি প্রয়োজন মিটাবো, শত্রুর কবল থেকে আশ্রয় দিবো এবং শত্রুর বিরুদ্ধে তাকে জয়ী করবো। (তফসীরে মা’আরেফুল ক্বোরআন-অনুবাদ দ্বিতীয় খন্ড, পৃ.৪৫)
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment