প্রশ্ন : আমার বয়স ৪৮ বছর। ২০০০ সাল থেকে আমি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ২০১২ সালে এক অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন যডাক্তারের কাছে চিকিৎসা কে আরোগ্য না পেয়ে নিউরোলজিস্ট ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হই। তিনি মানসিক রোগ হয়েছে বলে চিকিৎসাপত্র দেন। উক্ত ডাক্তার সাহেবের চিকিৎসাপত্র অননুযায়ী রাত্রে ঘুমের বড়ি খেতে হয়। এতে করে ফজরের নামাযে
বিঘন্ন ঘটে। হাদীসে রাসূল সা. একখানা হাদীস দেখে আমি খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি। হাদীসখানা হলো কোনো ব্যক্তি যদি ঈমানের সহিত ৪০ বৎসর অতিক্রান্ত করে তাহলে আল্লাহপাক তাকে তিনটি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দিবেন। ১. শ্বেতরোগ। ২. কুষ্ঠরোগ। ৩. উন্মাদরোগ। ডা. সাহেব যেহেতু বলেছেন আমি মানসিক রোগে আক্রান্ত তাই আমি জানতে চাচ্ছি আমি কি বেঈমান/মুনাফিক বা আমার ইবাদত কবুল হচ্ছে না। নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। উল্লেখ্য যে, আমি ছোটবেলা থেকেই নামায, রোযা, যাকাত ও হজ্জব্রত পালন করে আসছি।রোগাক্রান্তের দিন থেকে ফজরের নামায ছাড়া কোনো নামায ছুটে যায় নি।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত উক্তি মতে আ্পনার মধ্যে কুফুরী বা নেফাকীর কোনো আলামত আপাতত দেখছি না। তাছাড়া স্বাভাবিক মানসিক রোগাক্রান্ত হওয়া আর পাগল হওয়া এক কথা নয়। বর্ণিত হাদীসে পাগল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যে কোনো মুমিন ব্যক্তি পরীক্ষা স্বরুপ অন্যান্য রোগের ন্যায় স্বাভাবিক মানসিক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে। বুখারী শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে যে জনৈকা মহিলা সাহাবীয়া রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে অভিযোগ করলো যে ইয়া রাসূলুল্লাহ আমি হঠাৎ মাঝে মাঝে হিতাহিত জ্ঞাশূন্য হয়ে পড়ি। যদ্দরুন অনেক সময় আমার সতর খুলে যায়। আপনি আমার জন্য দোয়া করুন যাতে আল্লাহ আমাকে উক্ত রোগ থেকে মুক্তি দান করেন। উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে স্বাভাবিক মানসিক রোগাক্রান্ত হওয়া ঈমানের পরিপন্থী নয়। সুতরাং উক্ত রোগ আপনার জন্য পরীক্ষাস্বরুপ। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ যার মঙ্গল কামনা করেন তাকে রোগ শোকে পতিত করেন।
বিঘন্ন ঘটে। হাদীসে রাসূল সা. একখানা হাদীস দেখে আমি খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি। হাদীসখানা হলো কোনো ব্যক্তি যদি ঈমানের সহিত ৪০ বৎসর অতিক্রান্ত করে তাহলে আল্লাহপাক তাকে তিনটি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দিবেন। ১. শ্বেতরোগ। ২. কুষ্ঠরোগ। ৩. উন্মাদরোগ। ডা. সাহেব যেহেতু বলেছেন আমি মানসিক রোগে আক্রান্ত তাই আমি জানতে চাচ্ছি আমি কি বেঈমান/মুনাফিক বা আমার ইবাদত কবুল হচ্ছে না। নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। উল্লেখ্য যে, আমি ছোটবেলা থেকেই নামায, রোযা, যাকাত ও হজ্জব্রত পালন করে আসছি।রোগাক্রান্তের দিন থেকে ফজরের নামায ছাড়া কোনো নামায ছুটে যায় নি।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত উক্তি মতে আ্পনার মধ্যে কুফুরী বা নেফাকীর কোনো আলামত আপাতত দেখছি না। তাছাড়া স্বাভাবিক মানসিক রোগাক্রান্ত হওয়া আর পাগল হওয়া এক কথা নয়। বর্ণিত হাদীসে পাগল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যে কোনো মুমিন ব্যক্তি পরীক্ষা স্বরুপ অন্যান্য রোগের ন্যায় স্বাভাবিক মানসিক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে। বুখারী শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে যে জনৈকা মহিলা সাহাবীয়া রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে অভিযোগ করলো যে ইয়া রাসূলুল্লাহ আমি হঠাৎ মাঝে মাঝে হিতাহিত জ্ঞাশূন্য হয়ে পড়ি। যদ্দরুন অনেক সময় আমার সতর খুলে যায়। আপনি আমার জন্য দোয়া করুন যাতে আল্লাহ আমাকে উক্ত রোগ থেকে মুক্তি দান করেন। উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে স্বাভাবিক মানসিক রোগাক্রান্ত হওয়া ঈমানের পরিপন্থী নয়। সুতরাং উক্ত রোগ আপনার জন্য পরীক্ষাস্বরুপ। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ যার মঙ্গল কামনা করেন তাকে রোগ শোকে পতিত করেন।
No comments:
Post a Comment