Featured Post

আল্লাহর গুণ বাচক নামের ফযীলত ( Eman Dipto Dastan)

আল্লাহর গুণ বাচক নামের ফযীলত  রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, আল্লাহর আসমায়ে হুসনা (গুণ বাচক নাম) নিরানব্বইটি। আল্লাহ এ সকল নাম দ্বারা দোয়া চা...

amazon

Sunday, July 12, 2015

সূরা ইয়াসীনের ফজীলত।

আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।

আজকরে বষিয় : সূরা ইয়াসীনরে ফজীলত।

http://islamicprithiby.blogspot.com/search?updated-max=2015-07-12T12%3A17%3A00-07%3A00&max-results=5#PageNo=2

হযরত মা’কেল ইয়াসার রাঃ হতে বর্ণিত যে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। সুতরাং এর সূরাটি মুমূর্ষ লোকের জন্য তেলাওয়াত করো। (বায়হাকী-শোয়াবুল ঈমান)
এ সাহবীর বর্ণনায় আরেকটি হাদীসে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে, আল-কুরআনের ক্বালব বা হৃদয় হলো সূরা ্ইয়াসীন। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখিরাতের মুক্তি কামনা করে এই সূরা ইয়াসীন পাঠ করো। (মুসনাদে আহমদ, সুনানে আবু দাউদ, নাসায়ীইবনে মাজাহ ও হাকীম)
হযরত আনাস রাঃ বলেন, হযরত রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের ক্বালব বা হৃদয়
থাকে, আল-কুরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসীন। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াসীন পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে দশবার সমগ্র কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন। (জামে তিরমিযী ও সুনানে আদ-দারেমী)
হযরত জুনদুর রাঃ বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (মালিক, ইবনে সুন্নী ও সহীহ ইবনে হাব্বান)। হযরত আবু হোরায়রা রাঃ এর বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহ তার সে রাতের গুনাহ মাফ করবেন। (বায়হাকী, আদ-দারেমী, তাবারানী ও অন্যান্য)
হযরত  আবু হোরায়রা রাঃ বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ তা’আলা আসমান এবং যমীন সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে সূরা ত্বাহা এবং সূরা ইয়াসীন পাঠ করলেন। তখন ফেরেসতারা তা শুনে বললেন, ধন্য সে জাতি যাদের প্রতি তা নাযিল হবে, ধন্য সেই বক্ষ যে তা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে তা উচ্চারণ করবে। (সুনানে আদ-দারেমী)
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাঃ হতে বর্ণিত। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল-কুরআনে এমন একটি সূরা আছে যা এর পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং এর শ্রোতাকে মাফ করা হবে, এটাই সূরা ইয়াসীন(তাফসীরে সূরা ইয়াসীন)
তাবেয়ী হযরত আতা ইবনে রিবাহ রহঃ, বলেন আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে কথাটি পৌছেছে যে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দিনের প্রথম দিকে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে তার সহ হাজত পূর্ণ হবে। (সুনানে আদ-দারেমী)
হযরত আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত আছে যে, ব্যক্তি জুমমার রাতে সূরা ইয়াসীন পাঠ করে তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে আব্বাসের রাঃ হাদীসে বর্ণিত আছে, সূরা ইয়াসীন কবরের আযাব হতে মুক্তিদাতা।(জামে তিরমিযী)
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি ভোরে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার যাবতীয় কাজ সহজ করে দেওয়া হবে, আর যে সন্ধ্যা বেলায় তা পাঠ করবে ভোর পর্যন্ত তার সব কাজ সহজ করেদেওয়া হবে। (সুনানে আদ-দারেমী)
হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এর বর্ণনায় হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে, যে ব্যক্তি জুমআ বারে পিতা-মাতা উভয়ের বা এক জনের কবর যিয়ারত করবে এবং সেখানে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করবে এতে মৃতের নিকট তো সওয়াব পৌছবেই, আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেকটি অক্ষরের বদলে পাঠকারীর গুনাহ মাফ করবেন। (তাফসীরে সূরা ইয়াসীন)Ñ
হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে এবং এই অভ্যাসে থেকে মারা যাবে, সে শহীদরূপে গণ্য হবে। (তাবারানী ও অন্যান্য)
বায়হাকী গ্রন্থে উদ্ধৃত একটি হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি এটা (সূরা ইয়াসীন) পাঠ করে তাকে বিশটি হজ্জের পরিমাণ সওয়াব দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি তা শ্রবণ করে তাকে মহান আল্লাহর রাস্তায় এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দান করার সওয়াব দেয়া হয়। কেউ তা লিখে ধৌত করে পানি পান করলে তার পেটে এক হাজার রোগের ঔষধ রয়েছে, এক হাজার নূর, এক হাজার বিশ্বাস, এক হাজার বরকত, এক হাজার রহমত প্রবেশ করে এবং তার ভেতরকার যাবতীয় রোগ ও জঠিলতা দূর হয়। হযরত আলী রাঃ হতে এই মর্মে হাদীস বর্ণিত আছে। এমনও একটি বর্ণনা পাওয়া যায় যে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ভাবে সূরা ইয়াসীন পাঠ করতে থাকবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা রাখা হবে। (তাফসীরে সূরা ইয়াসীন-১৯৬৩)
অন্য এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধা সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, তার দিন-রাত শান্তিতে কাটবে। তার যতো অভাবই থাকুক, তা দূর হবে এবং সে ধনী ও ঐশ্বর্যশীল হবে। (তাফসীরে সূরা ইয়াসীন)

আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।


No comments:

Post a Comment